দলীয় কোন্দলে আ’লীগ নেতার মৃত্যু

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কাবিল মেম্বার (৪৫) শুক্রবার ভোর রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য বলে জানা গেছে।

নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিটনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর ওবায়দুল মেম্বর, মিটুল, হামিদুর ও তুরফান বুধবার সন্ধ্যায় নহাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাবিল মেম্বারকে ধরে নিয়ে পানিঘাটার পাঁচমাথা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। মারাত্বক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যায়।

নিহত কাবিল মেম্বারসহ পানিঘাটা, জয়রামপুরের প্রায় অর্ধশত মানুষ একাদশ নির্বাচনের পর থেকে লিটন বাহিনীর ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে আত্নগোপনে ছিল।
গত ৩০ জানুয়ারী মাগুরা পুলিশ সুপারের নিকট বাড়ি ঘরে ফিরতে চেয়ে লিখিত দরখাস্ত দিলে পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নির্দেশ দেন। এই দিনেই তারা গ্রামে ফিরে যায়। নিহত কাবিল মেম্বার বর্তমান নহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী মিয়ার সাথে থেকে নির্বাচন করায় লিটন বাহিনীর ভয়ে পলাতক ছিল।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম জানান, নহাটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার কাবিল মোল্ল্যাকে সামাজিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা বুধবার সন্ধ্যায় পিটিয়ে আহত করে। শুক্রবার ভোর রাতে সে ফরিদপুরে মারা গেছে বলে সংবাদ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহত কাবিল মেম্বাররের মরাদেহ ফরিদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য রাখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মাগুরার পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ রোজোয়ান জানান, কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা রুজু করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top