লক্ষীপুর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় সাবেক স্ত্রী শহর বানু (৪৫ বছর) কে গলাকেটে করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখের বিরুদ্ধে। (১৭ এপ্রিল) রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত শহর বানু পঞ্চগড়ের গোবীন্দগঞ্জের বাসিন্দা ও গ্রেপ্তারকৃত খোকন আলী বগুড়ার সারিয়াকান্দির বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। পারিবারিক বিরোধ ও পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটছে বলে পুলিশের ধারণা। ঘটনার খবর পেয়ে ল²ীপুরলক্ষীপুর
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগুড়য়ার সারিয়াকান্দি থেকে গত ২০ দিনে আগে ফকির আলী ও শহর বানু পালিয়ে লক্ষীপুরে আসে। সম্পর্কে তারা দুইজন দেবর-ভাবী। ফকির আলীর সংসারে রয়েছে দুই সন্তান ও শহর বানুর সংসারে রয়েছে তিন সন্তান। পরে স্বামী খোকন আলী শেখকে ডির্ভোস দিয়ে দেবর ফকির আলীকে বিয়ে করে শহর বানু। এরপর থেকে লক্ষীপুর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করে তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখ রোববার সকালে লক্ষীপুরে ছোট ভাইয়ের ওই ভাড়া বাসায় উঠে। পরে স্ত্রী শহর বানুকে নানাভাবে বুঝিয়ে বাড়ীতে ফিরে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় খোকন আলীকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গনধোলাই দেয়। হত্যাকান্ডের সময় ছোট ভাই বাসায় ছিলনা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। গত কয়েকদিন ধরে ফকির আলী লক্ষীপুরে ভাঙ্গারী ব্যবসা করতো।
লক্ষীপুর পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন,এটি পরিকল্পিত হত্যা। তবে পারিবারিক বিরোধ ও পরকীয়ার জের ধরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত ঘাতক সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘাতক খোকন আলীর ছোট ভাই বর্তমান স্বামী ফকির আলীকেও খুজঁছে পুলিশ।
মা’র চোখের সামনে অটোর নিচে চাপা পরে মা,রা যায় শিশু নিশাদ। শিশুটি আছিম-পাটুলী গ্রামের ব্যবসায়ি আজাহার ইসলামের ছেলে। চোখের সামনে শিশুর মৃত্যু হওয়ায় ঘটনাস্থলে মা কুলসুম আক্তার নির্বাক হয়ে গেছে। মানুষ দেখে শুধু তাকিয়ে থাকে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার (১৭ এপ্রিল) মা কুলসুম আক্তারের সাথে সোয়াইতপুর নানার বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত অটোবাইকের সামনে বসে আছিম-পাটুলী গ্রামে দাদার বাড়িতে আসছিল শিশু নিশাদ।