বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক আয়োজিত ১২তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২২ এ জাতীয় মেধায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিফাহ তাসনিয়া ইসলাম (অর্পি)।
শুক্রবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ উপস্থিত অতিথিরা তাঁকে মেডেল ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।
বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক হিসেবে গড়ে তোলাই এই অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্যে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের ৮টি বিভাগের ২৮টি কেন্দ্রে বিভাগীয় অলিম্পিয়াড নামে প্রাথমিক বাছাই পর্ব এবং এই বাছাই পর্বে নির্বাচিতদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে ২০ জন করে নির্বাচিত করা হয় ঢাকার জাতীয় বিজ্ঞান উৎসবের জন্য। সেখানে সকল প্রতিযোগীর মধ্যে রিফাহ প্রথম স্থান অর্জন করেন। অলিম্পিয়াডে পদার্থ, রসায়ন, গণিত এবং জীববিজ্ঞান বিষয় থেকে বিভিন্ন প্রশ্নে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, রিফাহ তাসনিয়া ইসলামের পিতা-মাতা দুজনেই ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তার পিতা ড. মো. আজহারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মাতা ড. শাহানারা বেগম ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। এর আগে রিফা ময়মনসিংহে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল (কেবি স্কুল) থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন, সেখানেও তিনি প্রায় ৯৩ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সকল বিষয়ে জিপিএ ৫ পান।
এদিকে রিফাহর সাফল্য খুশি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। তার এ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেবি কলেজ কর্তৃপক্ষও। রিফাহর এ সাফল্যের খবর তার পিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে সেখানেও অসামান্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশ বিদেশের অনেকে।
মেয়ের সাফল্যেও খবরেরর অনুভূতি জানতে চাইলে রিফাহর পিতা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, রিফাহ এর এমন সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিজ্ঞানকে জানার আগ্রহ প্রবল। আমরাও তাঁর এ জানার এ আগ্রহকে সাহস জুগিয়েছি। আমরা সবার কাছে ওর জন দোয়া চাই, সে যেন ভবিষ্যতে আরো ভালো করার মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গর্ভনিং বডির চেয়্যারমান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন বলেন, রিফাহর এমন সাফল্য আমাদের কলেজকে গৌরাবান্বিত করেছে। সারাদেশ শত শত কলেজের মধ্যে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন, এ খবর আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। আমি রিফাহকে জানি, সে খুবই মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। আমরা চাই তাঁর এ সাফল্যের এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকুক।