স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে আসন ফাঁকা দুই শতাধিক। তবে এই ফাঁকা আসনে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার (১৬ মার্চ) এমনটিই জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয়ের বক্তব্যের সাথে আমিও সহমত। কারণ ৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাস শুরুর পর প্রায় দেড় মাস চলে গিয়েছে। অনেক বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সামনে আরেকটা সেশনের ভর্তির সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।’
জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদে সর্বমোট এক হাজার নব্বইটি আসনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুইবার মেধাতালিকা প্রকাশ ও কোটায় ভর্তির পরও প্রায় দুই শতাধিক আসন ফাঁকা আছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ জানাচ্ছেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আফজালুর রহমান আবির বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অন্যায়। আমি মোট চারটি ইউনিটে আবেদন করেছি ১৬শ টাকা দিয়ে। ভর্তি কার্যক্রম চালু না রাখায় একটি ইউনিটে অপেক্ষমান তালিকার প্রথমে থেকেও ভর্তি হতে পারছি না। অথচ আসন খালি পড়ে আছে। আমাদের কষ্টের টাকার কি কোনো মূল্য নেই? অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এখনো ভর্তি নিচ্ছে সেখানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুইটি মেধাতালিকা দিয়েই সীট খালি রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়।’
আরেক ভর্তিচ্ছু সুমন মণ্ডল জানান, ‘এটা চরম অন্যায় করা হচ্ছে আমাদের সাথে। প্রথমে গুচ্ছ কমিটি ১২০০ করে টাকা নিল, এরপর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটপ্রতি চারশো করে ফি নিলো। তারা যদি সিট ফাঁকা রেখে দেয়, আমাদের সুযোগ না দেয় তাহলে টাকা গুলো ফিরিয়ে দিক।’
তাজিম আহাম্মেদ ওয়ালিন নামে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করে এই জায়গায় এসে ভুল করবেন না। আপনাদের কাছে এটা একটা সীট মনে হলেও এগুলো একেকটা স্বপ্ন, একেকটা জীবন।’
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন হেল্প লাইন নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘বেশ কয়েকটি বিভাগ যেমন দর্শন, ফোকলোর, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগে প্রায় অর্ধেকের মতো সিট খালি আছে। সমাধান একটি করা যেতে পারে, যারা পূর্বে ভাইভা দিয়েছে তাদের ভর্তি নেয়া এবং একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একদিনেই সাবজেক্ট দেয়া ও ভর্তি সম্পন্ন করা।’