জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনকারীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। নির্যাতিত শিক্ষার্থীর নাম সাগর চন্দ্র দে। তার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলায়।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবনের মূল ফটক আটকে অবস্থান করেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে দশটার দিকে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর যারা নির্যাতন করে তারা সন্ত্রাসী। বারবার আমাদের প্রশাসন তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসছে। আমাদের দাবি, এবার যেন কোনোপ্রকার ছাড় দেয়া না হয়। আমরা নির্যাতনকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকার, অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা, সহকারী প্রক্টর ইরফান আজিজ, আসাদুজ্জামান নিউটন ও চন্দম কুমার পাল।
ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা তোমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছি এবং এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। হল প্রশাসন ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিবে।’
অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট বলেন, ‘আমি গতকাল সারাদিন অসুস্থ শিক্ষার্থীর পাশে ছিলাম। তার সিটিস্ক্যান ও এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা আশঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন। আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখছি এবং বিষয়টি সমাধানে অতি দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা রাখি।’
এর আগে, শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিং করেছে চারুকলা বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত পেয়ে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি আছেন।