এবার ইউক্রেনে বোমা হামলার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহের তরুণ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. রুকনুজ্জামান রাজীব (২৬)। তিনি ময়মনসিংহ সদরের কাঁচিঝুলির জোবেদ আলী রোডের মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলির ছেলে। তিনি গত ৪ মাস আগে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে থার্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন (সিডিসি নং C/O/9637 পাসপোর্ট নম্বর A 01711643))। তার দুই বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
রুকনুজ্জামান রাজিবের বড় ভাই কামরুজ্জামান রাসেল ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, রাজীবসহ অন্যান্য নাবিকরা এখন কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। তাদের একমাসের মতো খাদ্যের যোগান থাকলেও জাহাজের বিদ্যুৎ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফ্রিজসহ সব কিছুই অকেজো হয়ে গেছে। তারা জাহাজ থেকে নেমে তীরে উঠতে পারছে না। কারণ, সাগরের বিশেষ বিশেষ এলাকায় মাইন বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শিপিং কর্পোরেশন আটক নাবিকদের উদ্ধারে যথেষ্ট চেষ্টা করছে এমন দাবি করলেও মূলত নাবিকদের সাথে নূন্যতম যোগাযোগ করছে না সংস্থাটির কেউই এমন তথ্য রাজীবসহ অন্যান্য নাবিকরা তাদের পরিবারকে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, মো. রুকনুজ্জামান রাজিব ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ১৫৭ তম ব্যাচ এর ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বাংলাদেশ মেরিন একােডেমী থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন।
তিনি সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার রকেট হামলার শিকার বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ওই জাহাজেকর্তব্য পালন করছিলেন।
ইতোমধ্যে ওই জাহাজে অবস্থিত ২৯জনের মধ্যে বোমা হামলায় একজন মারাও গেছেন। বাকী সবাই আতঙ্কিত রয়েছেন বলে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে ধরণের সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলোও ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন জাহাজে থাকা অন্যান্য নাবিকরা।
জাহাজের নাবিকদের ভাষ্য মতে, তারা কেউেই এখন নিরাপদে নেই। যেকোন সময় তাদের উপর আবারও আক্রমণ হতে পারে। ময়মনসিংহের এই যুবক রুকনুজ্জামান রাজিব এক ভিডিও বার্তায় দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের তীব্র আকুতির কথা জানিয়েছেন। তার আকুতি একটাই, ‘ দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।’