বগুড়ায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি দিয়েছে আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩-এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন তার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রতন (৫০) আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পর ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের হাজী পালশা গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে সাকিলার (৪৫) সাথে ১৯৯২ সালে একই থানার মধ্য পালশা গ্রামের মৃত শুকুর আলী মাহমুদের ছেলে রতনের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ১০ বছর পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে সাকিলাকে তালাক দেয় রতন। এরপর ২০০২ সালের ২১ জুন স্ত্রী সাকিলা খাতুনকে স্থানীয় কবিরাজ দেখানোর প্রলোভন দিয়ে গোদারপাড়া মাঠের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে তিন জন তাদের পথরোধ করেন। এ সময় অপর তিন জনের সহযোগিতায় রতন তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। কিছুক্ষণ পর সেখানেই মারা যায় সাকিলা। এ ঘটনায় রতনসহ আরো তিন জনের নামে নিহতের ভাই সারোয়ার হোসেন সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রধান আসামি রতনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি পদ্ম কুমার দেব।