ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আসন্ন সংকটের মধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় দুই ইউক্রেন সেনা নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এই দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এ সপ্তাহে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এতে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গোলাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গোলা ছুড়লে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়।
এদিকে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্টিরস্কি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একদল সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে যান। কিন্তু সেখানে তারা গোলার মুখে পড়েন।
তিনি বলেন, এই প্রথম তিনি গোলার সামনে পড়েছেন। এখানে আসার পথে প্রত্যেক গোলাবর্ষণের শব্দ শোনার পর গাড়ি থামিয়ে আমরা মাটিতে শুয়ে আত্মরক্ষা করি।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রত্যেকেই যে কোনো ধরনের অবস্থার জন্য প্রস্তুত।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারী কামান ব্যবহার করে ৩০টির বেশি বসতিতে গোলাবর্ষণ করেছে। তারা তাদের আর্টিলারি সিস্টেম আবাসিক বাড়িঘরের কাছে স্থাপন করেছে।
শনিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ৭০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে ১২০ মিলিমিটার ক্যালিবার কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এ ধরনের কামানের গোলা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এদিকে তথ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের একটি দলিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের দোনবাসে ক্লোরিন ট্যাংকে ইউক্রেনের সেনাদের হামলার চেষ্টার একটি ভিডিও সামনে এসেছে।