বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিবিদ দিবস উদযাপনের সময় বিশৃঙ্খলা ও হাতাহাতির ঘটনায় বিচারের দাবি জানিয়েছে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৪ ফেব্রয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছাত্রলীগের ১০ জন পদপ্রত্যাশী নেতার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে ওই দাবি জানানো হয়।
খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, রাশেদ খান মিলন, মোঃ হুমায়ুন আহমেদ, মোঃ ইমরান সিদ্দিকি প্রান্তর, মোঃ শাহেদ হোসেন, শেখ মেহেদী রুমি জয়, সারোয়ার জামান শাওন, তারিক জামান জয় ও রামিম আল রেজুয়ান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিটি দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রক্টরকে প্রদান করা হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, কৃষিবিদ দিবসে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্ত্বরে ফুল দেওয়ার পর বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও সিনিয়র কৃষিবিদদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বাকৃবি অফিসার পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আরো কয়েকজন নেতৃবৃন্দ অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। পরবর্তীতে বাকৃবির শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অায়োজিত আনন্দ র্যালিতেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
র্যালিতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
এর আগে রবিবার বাকৃবির অফিসার পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার বরাবর প্রতিবাদ লিপি প্রদান করে। তারা দাবি করেন করোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যালিসহ সকল জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ছাত্রলীগ ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ক্যাম্পাসে র্যালি করতে চাইলে আমরা তাদের বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। তখন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনায় আফিসার পরিষদের ১০ জন নেতা আহত হন বলেও তারা দাবি করেন।