ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হোটেল হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হোটেল মালিক ও তার ছেলেসহ আহত হয়েছেন সাতজন। এই হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ এগার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন হোটেল মালিক। তবে এখনি মামলাটি এজাহারভূক্ত না করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা অভিযুক্তরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (২৮),উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. আ: গণি (৪২), মো. ইমন(২২), মো: রানা (২৫), মো. জোবায়ের (২৩), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. শামীম(২৮), মো. জহিরুল ইসলাম (২২), মো. নাজমুল (২২), মো. রায়হান (২১), ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মো. শরীফুজ্জামান আকন্দ রানা(৪৫)।
অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধায় এগার আসামির মধ্যে কয়েকজন সিদ্দিক মিয়ার হোটেলে গিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় কিছুক্ষণ পর লাঠিসোটা নিয়ে হোটেল মালিকের ছেলে সাফায়েতকে মারধোর করে চলে যায়। পূর্ব ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধায় অভিযুক্তরা আবারও সিদ্দিক মিয়ার হোটেলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় আহতেরা হলেন, হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া (৬২) তার ছেলে সাফায়াত হোসেন (২৮), কর্মচারী রুবেল (৩৫), সোহাগ (২০), নুরুদ্দিন (৪৭), জুয়েল (৩০) ও রুবেল (১৮)। হামলাকারীরা এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৭০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া। হামলাকারীরা এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৭০ হাজার টাকা লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেন হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া।
তবে এই মামলা পরিকল্পিত বলে দাবি করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মো. শরীফুজ্জামান আকন্দ রানা। তিনি ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, ‘উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক আ: গণির ভাই হোটেলে গন্ডগোল করছে একথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তখন উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় বিএনপির সেক্রেটারী হারুন যে ভূমিকায় ছিল, আমিও সে ভূমিকাতেই ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই মামলা করা হয়েছে।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, সোমবার নির্বাচনের দিন কিছু যুবককে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় কথা কাটাকাটিসহ একদফা হামলা হয় হোটেলটিতে। মঙ্গলবার সন্ধায় এসে হোটেলে ফের হামলা চালায় কিছু যুবক। এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।