ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার অফিসে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। হামলায় আহত হয়েছে নৌকার ৬ কর্মী।
জানা যায়, শেষ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ১নং ঈশ^রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। প্রতিদিেিনর মতো সারাদিন নির্বাচনী ওয়ার্ক করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরার পথে ইউনিয়নের খৈরাটি ও আশ্রবপুর গ্রামে অতর্কিত ভাবে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের উপর বিদ্রোহী প্রার্থী হারিছ উদ্দিনের চশমা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায়। ওই সময় নৌকার ৬জন কর্মী মারাত্মক আহত হয়। হামলায় আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর (৩৫), সাকিব (২৫), শহীদ (৩৫), জালাল (৩৫), সোহেল (২৪) ও রাসেল (২২)। একই সময় সঞ্চাপুর ও আশ্রবপুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের দু’টি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। ওই সময় অফিসের সামনে থাকা অন্তত ৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। অফিস সংলগ্ন একটি মুদি দোকানেও লুট করা হয়।
আশ্রবপুর গ্রামের ফজলুল হক বলেন, আমার বাড়িতে নৌকার অফিস করায় চশমা প্রতীকের হারিছ উদ্দিনের লোকজন নৌকার অফিস ভাংচুর করে ও পাশে থাকা আমার একটি মুদি দোকান লুট করে ।
এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী হারিছ উদ্দিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মন্তব্য করকে রাজী হননি।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবু হানিফা বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। নৌকার নির্বাচনী মাঠ ধ্বংসের চেষ্টার অংশ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় আমার ছয় কর্মীকে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে ও দু’টি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আমি নৌকার কর্মী ও সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি। এ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
ঈশ^রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, দু’জন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক তা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিত কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।