দুই বাসের চাপায় ময়মনসিংহের কিশোর নিহতের ঘটনায় দুই চালক গ্রেফতার

রাজধানীর মগবাজার মোড়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেপরোয়া বাস চালানোর সময় দুই বাসের চাপায় পড়ে ময়মনসিংহের কিশোর মো. রাকিবুলের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালক মো. মনির হোসেন (২৭) এবং মো. ইমরানকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মৃত রাকিবুল ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার গাছুয়া পাড়া গ্রামের। হকারি করে পান বিক্রেতা নুরুল ইসলামের ছেলে ও তার মায়ের নাম রিজিয়া খাতুন বাসা বাড়িতে কাজ করেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাকিবুল ছিল দ্বিতীয়। মগবাজার পেয়ারাবাগ এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাই পত্তন গ্রামের মো. কুট্টি মৃধার ছেলে মো. মনির হোসেন (২৭) এবং শরীয়তপুরের সখিপুর থানার সরকারকান্দি গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ইমরান (৩৪)।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার মোড়ে আজমেরী গ্লোরী পরিবহণের দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে মো. রাকিব (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়।

ওই কিশোর ওই স্থানে মাস্ক বিক্রি করছিল। ওই দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার পর র‌্যাব ৩-এর সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি মনির জানান, তিনি প্রায় এক মাস আগে থেকে আজমেরী গ্লোরী গাড়ির চালকের সঙ্গে ওই গাড়িতে দৈনিক হেলপারি শুরু করে। সে মাঝে মধ্যে বাসটি চালাত বলে জানায়।

ঘটনার দিন সদরঘাট থেকে গাজীপুর চন্দ্রার উদ্দেশ্যে গাড়ির মূল চালক চালিয়ে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে চালক গুলিস্তানে এসে গাড়িটি হেলপার মনির হোসেনের দায়িত্বে দিয়ে যায় এবং মনির গাড়িটি চালিয়ে মগবাজার মোড়ে নিয়ে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, মগবাজার মোড়ের সিগন্যাল ছেড়ে দিলে দ্রুত গাড়ি দুটি এগিয়ে যাচ্ছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল পরবর্তী স্টপেজে যে আগে পৌঁছাতে পারবে সে বাসের জন্য অপেক্ষারত বেশিসংখ্যক যাত্রীকে তার বাসে নিতে পারবে। এমতাবস্থায় অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এক গাড়ি অপর গাড়িটিকে ওভারটেক করার সময় দুই গাড়ির মাঝখানে চাপা পড়ে ওই কিশোর। ঘটনার পর পরই দুই গাড়ির চালক মনির হোসেন ও ইমরান হোসেন বাস দুটি রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামি ইমরান হোসেন তিন বছর আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছে বলে জানায়।

Share this post

scroll to top