যুক্তরাষ্ট্রের লেজার অস্ত্র পরীক্ষা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের উপকূলে একটি ভাসমান লক্ষ্যবস্তুতে লেজার অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ও দ্রুতগামী বোটের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে এ পরীক্ষা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানায়, ইউএসএস পোর্টল্যান্ড এডেন উপসাগরে মঙ্গলবার ভাসমান লক্ষ্যবস্তুতে লেজার অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

মার্কিন নৌবাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক পঞ্চম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানায়, লেজার ‘সফলভাবে’ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এ যুদ্ধজাহাজ লেজার ব্যবহার করে একটি ড্রোন ভূপাতিত করছিল।

যুদ্ধকবলিত ইয়েমেনের দক্ষিণে এডেন উপসাগর। ২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথিরা রাজধানী সানা দখল করার পর থেকেই দেশটিতে যুদ্ধ লেগে আছে। এর পর ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ধারণা করা হয়, দেশটিতে সংঘাতে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন।

দেশটির সমুদ্রসীমায়ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে রেড সি ও বাব এল-মান্দেব প্রণালী এলাকায়। এ পথ আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ও বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে হুথিরা ড্রোন বোট মোতায়েন করেছে। যা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং বিস্ফোরণের আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পাঠানো যায়। ধারণা করা হয়, ইরানের সহায়তায় এ ধরনের ড্রোন বোট তৈরি করেছে তারা।

যদিও ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পারস্য উপসাগরে ইরান এ ধরনের ড্রোন বোট মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেখানে কয়েক বছরের মধ্যে বহু তেল ট্যাঙ্কার হামলার শিকার হয়েছে। দেশটি ছোট ছোট দ্রুতগামী বোটও ব্যবহার করে এ অঞ্চলে, যেগুলো বড় জাহাজের বিরুদ্ধে কার্যকর।

Share this post

scroll to top