অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বরিশালে আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এটিএম মুসা সোমবার দুপুরে ৩০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
মামলার প্রধান দুই আসামি ডাকাত আজিম ও দুলাল ঘটনার পর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। এরপর তদন্ত শেষে পুলিশ বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক জানান, ২০০৬ সালে পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়ার ব্যবসায়ী আবদুল গনি সিকদারসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী চাল, ভুসি, খৈল ও ডাল কিনতে নওগাঁ যান। তারা ওই এলাকার বিভিন্ন আড়ত থেকে পণ্য কিনে সিকদার এন্টারপ্রাইজের ট্রলারযোগে বাউফলের কালাইয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলার পাঠিয়ে সড়ক পথে চলে আসেন। এরপর বাকেরগঞ্জের হলতা বন্দর পর্যন্ত ট্রলারের মাঝির সঙ্গে মোবাইল ফোনে গনি সিকদারের কথা হয়। তারপর থেকে ট্রলারের লোকজনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি জানান, এ ঘটনার দুই দিন পর বরিশালের র্কীতনখোলা নদীতে খালি ট্রলার পাওয়া যায়। ট্রলার উদ্ধারের দুই দিন পর ঝালকাঠি সংলগ্ন নদীতে গনি সিকদারের ছেলে ও তিন মাঝিমাল্লার লাশ ভেসে ওঠে। ছেলের লাশ শনাক্ত করে গনি সিকদার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করেন। বাকিদের লাশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গনি সিকদার বাদী হয়ে আদালতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও মালামাল লুটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তে ডাকাত আজিম ও দুলালের নাম বেরিয়ে আসলে তাদের নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। তখন ক্রসফায়ারে তারা নিহত হন। এরপর বাকি ১৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আদালতের বিচারক ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক সব আসামিকে খালাস প্রদান করেন।