চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযুক্ত মো. সোহেল রানা বিশ্বাস ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পোড়া কান্দুলিয়া গ্রামের মো. জিন্নাত আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন নিশ্চিত করেন।
উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসের একটি বগি থেকে সোহেল রানাকে একটি ব্যাগসহ আটক করে রেল পুলিশ।
এসময় সোহেল রানার ব্যাগে তল্লাশি করে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার তিনটি এফডিআরের কাগজ, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি ব্যাংক চেক, পাঁচটি চেক বই ও ১২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা পুলিশকে বলেছিলেন, ওই টাকার মধ্যে ৫ লাখ তার নিজের, বাকি টাকা অন্যদের। পরে তার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন রেল পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফ। পরবর্তীতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাটি তদন্ত করে দুদক।
এছাড়া দুদকের তদন্তকালে সোহেল রানা ও তার স্ত্রী, শ্যালকের নামে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও যশোরে ২৬টি ব্যাংক একাউন্টে ১৫ কোটি টাকা লেনদেনেরও তথ্য পাওয়া যায়।