যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত অবৈধ নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন ইরান ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার চীন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
খবরে বলা হয়, এ বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম বিষয় ছিল— তেহরানের ওপর অবৈধভাবে আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানো।
বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেন। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও ইরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নের প্রশংসা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর নিন্দা জানান।
পরমাণু চুক্তিতে ফেরার মানসিকতা নিয়ে ইরান ভিয়েনা আলোচনায় যোগ দেবে বলে জানান আমিরাব্দুল্লাহিয়ান।
আমিরাব্দুল্লাহিয়ান বলেন, সম্প্রতি ইরানের দূত কাবুলে সফরের সময় তালেবানকে অন্তভুর্ক্তিমূলক সরকার গঠন এবং আফগানিস্তানের নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, পরমাণু চুক্তি নিয়ে বর্তমানে ইরান যে অবস্থান নিয়েছে, তা ন্যায্য।
আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর জোরালো পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুল ধরেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, আফগানিস্তান নিয়ে চীনে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।