আবু ধাবির শ্রম আদালতে এখন থেকে আইনি কাজকর্ম হিন্দিতেও সম্পন্ন যাবে। আদালতে ব্যবহারের তৃতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দিকে স্বীকৃতি দিয়েছে আবু ধাবি। এতদিন শুধুমাত্র আরবি ও ইংরেজিতেও আইনি প্রক্রিয়া চলত সেখানে।
কর্মসূত্রে বহু হিন্দিভাষী মানুষ আবু ধাবিতে বসবাস করেন। আরবি ও ইংরেজিতে তেমন দখল নেই তাদের। যে কারণে আইনি ভাষা বুঝতে তারা সমস্যায় পড়েন। তাদের কথা ভেবেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় আবু ধাবি কর্তৃপক্ষ।
আবু ধাবি বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে গত শনিবার বলা হয়, হিন্দিকে স্বীকৃতি দেয়ায় বিদেশি শ্রমিকরা সবচেয়ে উপকৃত হবেন। আরবি ও হিন্দিতে দখল না থাকলেও সমস্যা নেই। হিন্দিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখিতভাবে জানাতে পারবেন তারা। বয়ানও দিতে পারবেন হিন্দিতে। জমা দেওয়া যাবে পিটিশনও। আদালতে ব্যবহৃত নানা ধরনের আবেদনপত্রও এ বার থেকে হিন্দিতে ছাপানো হবে।
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটেরও একটি হিন্দি সংস্করণ আনা হচ্ছে। তাতে জটিল আইনি ভাষাগুলো হিন্দিতে অনুবাদ করা থাকবে। এর ফলে প্রয়োজনমতো সেখানকার আইন-কানুন রপ্ত করে নিতে পারেন বিদেশি নাগরিকরা। মামলা সংক্রান্ত ফাইলপত্র ও আদালতের রায়েরও হিন্দি কপি হাতে পাবেন তারা।
আবু ধাবি বিচার বিভাগের চেয়ারম্যান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা সংক্রান্ত দফতরেরও প্রধান। বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে, তার নির্দেশেই হিন্দিকে আদালতে তৃতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে জানান বিচার বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ইউসুফ সাঈদ আল আবরি।
এ মুহূর্তে আবু ধাবির জনসংখ্যা ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। এর দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশ থেকে আসা অভিবাসী। যার মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংখ্যাই প্রায় ২৬ লক্ষ। হিন্দিকে স্বীকৃতি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা।
সূত্র : গাল্ফনিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া