ময়মনসিংহে জেলা মহিলালীগ নেত্রীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জোসিদা খাতুন কোহিনুর (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। তবে এ মামলায় এখনও অধরা বিতর্কিত ও ধর্মীয় উস্কানীদাতা উৎপল করসহ আরও দুই আসামি।
বুধবার বিকেলে শহরের আকুয়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিআইডির জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার সুলতান মাহমুদ বুধবার বিকেলে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে সিআইডি কর্মকর্তা জানান, ফেসবুক এ্যাক্টিভিষ্ট উৎপল কর, জোসিদা খাতুন কোহিনুর ও সঞ্জীব ইসলাম নামে তিন ব্যক্তি নিজ নিজ আইডি থেকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অসৎ উদ্যেশ্য আক্রমনাত্মক, ভীতি প্রদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে আ.লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকার ও তার বোন লুৎফুন্নাহার লাকীর ছবি এডিট করে (সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ চেম্বারস অব কর্মাসের সভাপতি ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম, নান্দাইলের এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের) আ.লীগের গুরুত্বপুর্ন নেতৃবৃন্দের নামে মানহানিকার তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে দেশের সার্ব্বিক আইন শৃখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনানোর উদ্যেশ্য ফেসবুকে আপলোড করেন।
সিআইডি কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আ.লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খন্দকার বাদী হয়ে চলতি বছরের ২১ আগষ্ট ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় উল্লেখিত তিনজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিন আসামীর মধ্যে জোসিদা খাতুন কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার নারী কোহিনুর খাতুনের ফেসবুক থেকে জানা যায় তিনি “কোহিনুর বহুমুখী নারী উন্নয়স সংস্থা’র সভাপতি এবং সক্রিয় আ.লীগকর্মী। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি অধিগ্রহন করে ময়মনসিংহ সিআইডি পুলিশ।