সিলেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ঔদ্ধত্য আচরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হচ্ছেন- নগরীর মিরাবাজার এলাকার আগপাড়া মৌসুমী-৮২ এর হোসেন চৌধুরীর ছেলে মাজেদ আহমদ (২৭) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার চন্ডিনগর গ্রামের গৌছ উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩০)।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, তারেক সম্ভবত মহানগর ছাত্রলীগের আর মাজেদ অ্যাকটিভ না। দুইজনেরই কেউই জেলা ছাত্রলীগের কেউ না।
আর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ বলেন, তারেককে চিনি, সে জেলা ছাত্রলীগ করে মহানগরের নয়। মাজেদকে চিনি না।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর আম্বরখানায় সিসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান। এ সময় রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেল রাস্তায় ভুলভাবে পার্কিং করেন মাজেদ আহমদ। এ সময় মাজেদকে জরিমানা করতে গেলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের সঙ্গে ঔদ্ধত্য আচরণ করেন।
এছাড়াও মাজেদ ফোন করে আরেক ছাত্রলীগ কর্মী তারেক আহমদকে নিয়ে আসেন এবং দুজনে মিলে ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি পর্যন্ত দেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খবর দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে আসেন এবং মাজেদ ও তারেককে গ্রেফতার করে নগরভবনে নিয়ে যান। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দুজনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলীম শাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাজেদ ও তারেক সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছেন। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। যার ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।