স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি ফাইল গায়েবের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন।
তিনি জানান, ফাইল গায়েবের ঘটনায় শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ‑ চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আহসান কবীর এবং উপসচিব আবদুল কাদের। এ কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মো. শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় গেলাম, শাহবাগ থানায় জিডি করা হলো। আগামীকাল থেকে এর হদিস বের করার চেষ্টা করা হবে। রবিবার সব স্টাফরা অফিসে আসার পর পুলিশসহ সবাই তদন্ত করবে।
‘এটা অনেক ভয়াবহ একটা ব্যাপার, কারণ নথি তো একটা ডকুমেন্ট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবং সরকারি ডকুমেন্ট। এই সরকারি ডকুমেন্ট নাই এটা-তো বারবার ঘটতে পারে, এজন্য এ ধরণের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় এবং এর একটা ‘সলিউশন’ যেন হয় আমরা চেষ্টা করছি।
ফাইল গায়েবের ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে কী মনে করেন বা কারা জড়িত থাকতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি এখানে এসেছেন তিন মাসের মতো। ফাইলগুলো ছিল প্রশাসনিক আদেশের, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ক্রয় সংক্রান্ত। আমরা কোনও অর্থ ছাড় করি না। আগে থেকেই এগুলোর বরাদ্দ থাকে, সেগুলোর অর্ডার শুধু আমরা করি।
“নথিগুলো প্রশাসনিক আদেশের। এই প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে তাদের কী হবে? সেখানে ১৭টি ফাইল ছিল ‑ সব ফাইল সম্পর্কে আমারও আইডিয়া নেই। কী কারণে, কাকে কে সাবোটাজ করছে, এটা বুঝতে পারছি না”।
কক্ষের দরজা খোলা ছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা বোঝা যাচ্ছে যে, তাদের কাছে চাবি ছিল। কারণ কোনও ঘষামাজা নাই, ধাক্কাধাক্কি নাই, যে পয়েন্টে চাবি ঢোকে সেটা একেবারেই নরমাল। বোঝা যাচ্ছে, হয় ডুপ্লিকেট চাবি আছে অথবা অরিজিনাল চাবি রয়েছে, বলেন তিনি।