চীনের অন্যতম বড় একটি টেলিকম কোম্পানির যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওয়াশিংটন। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নিয়ে উদ্বেগ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে চায়না টেলিকমকে ৬০ দিনের মধ্যে আমেরিকায় সেবা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণের কারণে কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগে ‘প্রবেশ, মজুদ, বিঘ্ন ঘটানো এবং বিপথে পরিচালনার’ সুযোগ পেয়েছে। এর ফলে গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০ বছর টেলিকম সেবা দিচ্ছে চায়না টেলিকম। মার্কিন পদক্ষেপকে হতাশাজনক আখ্যা দিয়েছে তারা। কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের ক্রেতাদের সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখতে আমরা সব বিকল্প পথ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি।’
চীনের টেলিকম বাজারে প্রভাব বিস্তার করে রাখা তিনটি কোম্পানির একটি চায়না টেলিকম। ১১০টি দেশে কোম্পানিটির কোটি কোটি গ্রাহক রয়েছে। মোবাইলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ল্যান্ডলাইন টেলিফোন নেটওয়ার্কও রয়েছে তাদের।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হের সঙ্গে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের আলাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই বৈঠককে দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছিলো।
চায়না টেলিকম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি এটাই প্রথম নয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে আমেরিকায় কোম্পানিটির সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি)। ওই সময়ে বলা হয় কোম্পানিটিতে প্রভাব বিস্তার এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে চীন সরকার।