পূর্ব সিরিয়ায় নিজেদের ‘শেষ ঘাঁটি’ রক্ষায় আইএস যোদ্ধারা তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সমর্থিত সিরীয় বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ যোদ্ধারা সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) মুখপাত্র মুস্তাফা বালি।
দুই বছর আগেও আইএস সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। টানা আক্রমণে কমতে কমতে তাদের অবস্থান এখন ইরাক সীমান্তের কাছে দেইর আল জোর প্রদেশের একটি ছোট পকেটে এসে ঠেকেছে। বেসামরিক ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ বন্ধ রাখা এসডিএফ শনিবার সীমান্তবর্তী বাগুজ গ্রামে ‘আইএসকে নিশ্চিহ্ন করতে চূড়ান্ত আক্রমণ’ শুরু করে।
মুস্তাফা জানান, এরপর থেকেই আইএসের যোদ্ধাদের সাথে তুমুল লড়াই শুরু হয়। শনিবার রাতেই এসডিএফের এ মুখপাত্র বলেছেন, ভেতরে থাকা যোদ্ধারা সবচেয়ে অভিজ্ঞ, তারা শেষ দূর্গ রক্ষায় সঙ্কল্পবদ্ধ। এ থেকেই আপনারা যুদ্ধের মাত্রা ও তীব্রতা বুঝতে পারছেন,।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ধারাবাহিক বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে এসডিএফ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তরপূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে আইএসদের বিতাড়িত করেছে। ২০১৪ সালে নিজেদের সুসময়ে আইএস ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে ‘খেলাফত’ কায়েম করেছিল, আয়তনে ওই অংশটি প্রায় ব্রিটেনের সমান বড় ছিল। তারা সে সময় প্রায় ৮০ লাখ মানুষকে শাসন করত। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও রুশসমর্থিত বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে আইএসকে ৯৯ শতাংশ এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইএস ‘প্রায় নিঃশেষ’ হয়ে এসেছে জানিয়ে সিরিয়া থেকে অবশিষ্ট দুই হাজার মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে (আইএস) খেলাফতের শতভাগেরই নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছি। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেরই কোনো এক সময়ে তা ঘোষণা করা হবে।’