দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে সরকারের মধ্যস্বত্বভোগীরাই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ একটাই তাদের মধ্যস্বত্বভোগীরা। এরা (মধ্যস্বত্বভোগী) সবাই আওয়ামী লীগ করে অথবা তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ‘কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী, টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে প্রশাসনকে দলীয়করণ করার ফলে তাদের কাছ থেকে জনগণ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এই প্রশাসনও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগিতা করে আমাদের কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমরা কার কাছে দাবি করব? এই সরকার নিজেরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের এবং তাদের দোসরদের লাভবান করার জন্য এই ঘটনা করছে।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার হটানোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে আজকে এজন্য দায়িত্ব নিতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা আশাবাদী- এ দেশের জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপির নেতৃত্বে গণআন্দোলন সৃষ্টি হবে। গণআন্দোলনের মুখে এই গায়ের জোরের সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। বিএনপির নেতৃত্বে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই কাঙ্ক্ষিত আন্দোলনে সবাইকে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে।
সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ দাবি জানাচ্ছে- একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল।