তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে কথা বলায় বিএনপির সমালোচনা করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছিল। এ কারণে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। তারা একই সংকট আবারও সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘অনন্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা বলে, অথচ তারাই এই সরকারকে অপব্যবহার ও অকার্যকর করে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে তারা দেশে সাংবিধানিক সংকটও সৃষ্টি করেছিল। তাদের কিছু নেতাকর্মীর মুখে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই সরকারের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তা সবার জানা আছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক উদ্যোগ ও অর্জনকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়া, সন্ত্রাসবাদ,জ্বালাও- পোড়াও করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে রূপান্তরির করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।’ এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দুই শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে।’
দেশের প্রতিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নাম মিশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আজ পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রতিবেশী দেশসমূহ হতবাক হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে। এসব কিছু এমনিতেই হচ্ছে না। একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই সম্ভব হচ্ছে।’
তাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশীয় শাসকরা যেমন দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করেনি তেমনি তাদের দোসর পাকিস্তানিরাও ২৫ বছর বাঙালির রক্তচোষা ছাড়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কোনও অবদান রাখেনি। এমনিভাবে বিএনপি কখনোই এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় এ দেশের মানুষকে ভিখারি জাতি হিসেবে দেখতে চায়।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিস সারাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।