অনিয়মিত পত্রিকা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘২১০টি পত্রিকা, যেগুলো আসলে ছাপা হয় না, মাঝে মাঝে ছাপে বা চোরাগুপ্তা ছাপে, এই পত্রিকাগুলো আমি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বরেন্দ্র অঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পত্রিকাগুলা মাঝে মাঝে কোথা থেকে ছাপা হয় কেউ জানে না। এগুলোর থাকার দরকার নেই। গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। কেউ গণমাধ্যমকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কেউ ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। আবার অনেকে আছে, নিজেই মালিক, সম্পাদক, রিপোর্টার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেগুলো ভালো গণমাধ্যম তারা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। সেগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিচালিত হয় না, রাষ্ট্রের ও জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়।’
দেশের উন্নতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের কথা ফখরুল সাহেব স্বীকার করুক আর না করুক আজকে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন, বিশ্বব্যাংক স্বীকার করে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উনারা স্বীকার করুক আর না করুক কিছু আসে যায় না। উনাদের হেড কোয়ার্টার, উনারা যে আদর্শে উজ্জীবিত, সেই পাকিস্তান অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। ইমরান খান নিজেই স্বীকার করেন। সব সূচকে আমরা তাদের পেছনে ফেলেছি। শুধু ফখরুল সাহেব স্বীকার করেন না।’
সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।