শেরপুরে নৃ-জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত তিনটি উপজেলার গারো পল্লীতে দরিদ্রদের জন্য ‘আমজনতার হোটেল’ চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাশে আছি ইনিশিয়টিভ’।
ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া এলাকার থিওফিল মাস্টারের বাড়িতে শনিবার দুপুরে (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘পাশে আছি ইনিশিয়টিভ’ এর সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম এ আমজনতার হোটেল চালু করেন।
পরে গারো পল্লীর দরিদ্রদের জন্য রান্না করা ডিম ও সবজি-খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া এদিন শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রিস্টানপাড়া এলাকার অসহায় গারো কৃষক পরিবার এবং নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দরের কর্মহীন কয়লা ও পাথর শ্রমিকসহ ৫০টি দরিদ্র পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সহায়তা হিসেবে তাদের ৫ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে আলু, ১ কেজি করে ডাল ও আধা লিটার সয়াবিন দেওয়া হয়।
এ সময় বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদ ও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, বাগাছাস ঝিনাইগাতী শাখার সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শান্ত চিরান, সদস্য সুবির জেংচাম, শ্রীবরদী শাখার সদস্য সচিব শোভন দালবৎ, নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি সোহেল রেম ও সাধারণ সম্পাদক বাধন চাম্বুগং উপস্থিত ছিলেন।
‘পাশে আছি ইনিশিয়টিভ’এর সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারি অসহায় শ্রমিক ও আদিবাসীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ও বিনা পয়সায় নিয়মিত খাবারের জন্য আমজনতার হোটেল চালু করা হয়েছে।
“ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া গ্রামে সপ্তাহে ১ দিন রোববার ৫০ থেকে ১০০ জনকে দুপুরে একবেলা আমজনতার হোটেলে বিনামুল্যে রান্নাকরা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হবে।”
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদ ও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, “শেরপুরের পাহাড়ি বনাঞ্চলে বসবাসকারি ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় গারো পরিবারসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ‘পাশে আছি ইনিশিয়টিভ’ এর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ মানমিব সহায়তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদের মানুষের উপকার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।