ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনৈতিক কাজে ধরা পড়েন ৩০ বছর বয়সী নাতির সাথে প্রতিবেশি ৫৫ বছর বয়সী দাদি। অত:পর গ্রাম্য সালিশে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিয়ে দেয়া হয় দাদী-নাতিকে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টির ময়মনসিংহ লাইভকে নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামের মেম্বাররা খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিকাহ করাই। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর করা হয়। নতুন দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদি-নাতি।
নওপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, বিয়ের পর মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। ওই দাদির স্বামী পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সালিশে বসে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। তবে এরপরই নাতি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দাদিকে নাতির বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন।
একদিন পালিয়ে থাকার পর রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই যুবক বাড়ি ফেরেন। পরে ওইদিন আবার স্থানীয়রা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার তাদের বিয়ে হয়।
বড়হিত ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, নওপাড়া গ্রামের এনামুল হকের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী ফারুকের সাথে তার মায়ের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে রাতের বেলায় হাতে নাতে ধরার পর দুইজনের সম্মতিতে কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, বিয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় আসেননি।