ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ভেনিজুয়েলার নাগরিকরা ভিক্ষুক নয়। তাই কোনো ধরনের ত্রাণের দরকার নেই ভেনিজুয়েলার।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটিতে আগে থেকেই খাদ্য-ওষুধ ইত্যাদির সঙ্কট চলছিল। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার খাদ্য ও ওষুধসহ যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো মানবিক সহায়তা কলম্বিয়ার সীমান্ত শহর কুকুটাতে পৌঁছে। এসব জিনিসপত্র কলম্বিয়ার লোকজনের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেন, ভেনিজুয়েলার লোকজন ভিক্ষুক নয়।
তিনি আরো বলেন, মানবিক ত্রাণ বিতরণের এসব দৃশ্য আমরা ভেনিজুয়েলায় দেখাতে দেবো না, কারণ আমরা কারো কাছ থেকে ভিক্ষা নিই না।
মাদুরো বলেন, মার্কিন প্রশাসন গত চার বছর ধরে ভেনিজুয়েলায় ব্যাপক মানবিক সঙ্কট তৈরি চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু তারা এতে সফল হয়নি। ফলে এবার তারা ত্রাণ পাঠিয়ে তাদের সেই দাবি প্রমাণ করতে চাইছে।
তেলসমৃদ্ধ ভেনিজুয়েলা গত কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। ফলে এখন সেখানে খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভেনিজুয়েলা থেকে ৩০ লাখ লোক অন্য দেশে পালিয়ে গেছে।
ভেনিজুয়েলার সঙ্কট বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো তীব্র আকার ধারণ করে গত মাসে, যখন বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট দাবি করে বসেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সাথে সাথেই গুইদোকে স্বীকৃতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাকে স্বীকৃতি দেয় ইউরোপ ও আমেরিকার চল্লিশটির বেশি দেশ। তবে রাশিয়া, চীন, ইরান ও তুরস্কসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানায়।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ