চোর সন্দেহে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের জিসান মিয়া(১৬) নামের কিশোরকে পানিকে চুবিয়ে নির্যাতন করায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জিসান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে।
জানাযায়, গাজীপুর সদরে জিসানকে ইজিবাইক চোর সাব্যস্ত করে বেদম মারধর ও ডোবার পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন করে ইজিবাইক মালিক। গুরুতর আহত অবস্থায় জিসানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় কিশোরের বাবা আবদুস সামাদ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
থানায় দায়ের অভিযোগ ও নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিসান তার মায়ের সঙ্গে ভবানীপুর বাজারে হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকত। জিসানের মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কর্মী। গত ১৪ আগস্ট জিসান বাজারের একটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা খালি ইজিবাইক দেখে শখের বসে চড়ে বসে। এ সময় ইজিবাইকটি সড়কের ঢাল বেয়ে নেমে গিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। তখন কাছাকাছি থাকা ইজিবাইকচালক দৌড়ে এসে জিসানকে চোর বলে বেদম মারধর করেন।
পরদিন সকালে ওই ইজিবাইকচালকের স্বজনেরা জিসানকে ডেকে নেন। তাঁরা জিসানকে গজারি বনের ভেতরে ডেকে নিয়ে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আবারও মারধর করেন। এ সময় তাঁরা জিসানকে সেখানকার একটি ডোবার পানিতে চুবিয়ে ধরেন। তখন জিসান নিস্তেজ হয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে ওই লোকজন তাকে সেখানে ফেলে চলে যান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন জিসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেদিনই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিসান শুক্রবার সকালে মারা যায়।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জিসানের মারা যাওয়ার সংবাদ জানালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে জিসানের মরদেহের সুরতহাল করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে।