ভোলার লালমোহনে বাসায় তরুণী রেখে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক করা হয়েছে স্থানীয় তাঁতীলীগের এক নেত্রীকে। শুক্রবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন লালমোহনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামে মোছা: শাহিনুর বেগম দীর্ঘদিন থেরাপি ব্যবসার আড়ালে নিজের বাড়িতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় লালমোহনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জাহিদুল ইসলাম থানা পুলিশসহ ওই বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় বাসায় এক তরুণী ও ঘরের আশপাশে ব্যবহৃত একাধিক কনডম পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে আটক করা হয়।
শাহিনুরের বাসায় তার ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। যাতে শাহিনুরের পরিচয় ভোলা জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। শাহিনুরের স্বামী শাহে আলম ঢাকায় ভ্যানচালক। তা সত্ত্বেও বাড়িতে শাহিনুর একতলা ছাদ দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। বাসায় নতুন ফ্রিজ, সোফাসহ দামি আসবাবপত্রও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে প্রতিবেশীরা জানায়, ওই ভবনে থেরাপি সেন্টারের আড়ালে তার মূল কর্মকাণ্ড ছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের এনে পতিতাবৃত্তি করা। তার বাড়িতে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল নিয়ে অপরিচিত লোকদের আনাগোনা চোখে পড়ে আশপাশের লোকজনের। এ নিয়ে পাশের লোকজন শাহিনুরকে কিছু বললে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শাহিনুরের বাসায় পাওয়া মিতু নামের ওই তরুণীর মা-বাবায় ঢাকা থাকে বলে তিনি জানান। তাদের আটক করে আনার সময় শাহিনুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মিছিলও করেছে।
তবে শাহিনুর বেগম জানান, বাসায় কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না। এখানে ভান্ডারির আয়োজন হয়। এছাড়াও লোকজনকে থ্যারাপি দেয়া হয়, যার কারণে বিভিন্ন লোকজন এ বাসায় আসে। বাসায় থাকা তরুণী তার বোনের মেয়ে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া যায়নি।
শনিবার সকালে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এখনো শাহিনুর ও মিতু থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।