অভ্যন্তরীণ এক ‘অভ্যুত্থান চেষ্টা’ থেকে বেঁচে গেছেন আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। আঞ্চলিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, গত মাসে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বাগদাদির আস্তানায় আইএসের বিদেশী যোদ্ধারাই তাকে উৎখাতের চেষ্টা চালিয়েছিল। পরে দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ওই ঘটনার ‘মূল হোতার’ মাথার দাম ঘোষণা করেছে আইএস।
২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অংশ দখল করার পর বিশ্বের মুসলিমদের শাসক হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন বাগদাদি। ধারণা করা হয়, আইএসের স্বঘোষিত খিলাফতের পতনের পর এখন তিনি ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে আত্মগোপন করে আছেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা আইএস নেতা বাগদাদি ২০১৪ সালে একবারই নিজের ছবি তুলতে দিয়েছিলেন। বাগদাদি সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের গুজব উঠতে দেখা গেছে। কখনো দাবি করা হয়েছে তিনি মারা গেছেন, কখনো বলা হয়েছে তিনি ধরা পড়েছেন, আবার কখনো দাবি করা হয়েছে বাগদাদি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। কখনো বা সিরীয় বাহিনীর হাতে আটক হওয়া আবার কখনো তাকে বিষ খাইয়ে দেয়ার গুজবও শোনা গেছে।
২০১৭ সালের জুনে বাগদাদির মৃত্যুর খবরকে ‘শতভাগ নিশ্চিত’ দাবি করেছিলেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। এর এক বছর এক অডিও বার্তা দিয়ে বাগদাদি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বেঁচে আছেন। এবার আঞ্চলিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সম্প্রতি বাগদাদির বিরুদ্ধে নিজ সংগঠনের অভ্যন্তর থেকেই অভ্যুত্থান চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেয়া হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, ফোরাত নদী উপত্যকায় হাজিন গ্রামের কাছে ১০ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। প্রভাবশালী বিদেশী যোদ্ধা আবু মুয়াজ আল জাজাইরিকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে আইএস। হাজিন এলাকায় বসবাসরত ৫০০ আইএস যোদ্ধারই একজন জাজাইরি। আইএস সরাসরি জাজাইরিকে অভ্যুত্থান চেষ্টায় অভিযুক্ত করেনি।
সূত্র : গার্ডিয়ান