গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আবারো পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কোচিং পরিচালক ও সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী বেলজিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও স্কয়ার প্রি-ক্যাডেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক বেলজিয়াম মিয়া কোচিং সেন্টার খুলে দীর্ঘ দিন থেকে বাণিজ্য করে আসছিলেন। গতকাল শুক্রবার কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ের পর কৌশলে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের একপর্যায়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অবস্থা বেগতিক দেখে বেলজিয়াম ছাত্রীটিকে কোচিং ক্লাসের এক পাশে লুকিয়ে রাখেন।
এ দিকে কোচিংয়ের সময় শেষ হওয়ার পরেও মেয়েটি বাড়িতে না ফিরলে তার মা কোচিং সেন্টারে খোঁজ নিতে আসেন। কিন্তু শিক্ষক বেলজিয়ামের উল্টোপাল্টা কথায় মেয়েটির মার সন্দেহ হলে লোকজনসহ কোচিং সেন্টারের ক্লাস রুমে প্রবেশ করে বিব্রতকর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন লম্পট বেলজিয়ামকে বেদম মারধর করে স্থানীয় থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলজিয়ামকে আটক করে। এ ঘটনার স্থানীয় জনতা লম্পট বেলজিয়ামের বিচারের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।
বেলজিয়াম সাপমারা ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের আব্দুল বাকি সরকারের ছেলে। বেলজিয়ামের বাবা-মা দুইজনই নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা।