বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া ধর্মের অন্যতম হচ্ছে ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মের স্থান দখল করেছে। সেখানে বর্তমানে ল্যাটিনোরা বড় সংখ্যায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।
ইসলামের মানবিক আচরণ, ধর্মীয় সহনশীলতা, অপরকে সম্মান দেয়ার ঐতিহ্য এবং লিঙ্গবৈষম্যহীনতা ইত্যাদিই ইসলামে এভাবে প্রবেশ করার প্রধান কারণ।
কিছুদিন আগে পিউ রিসার্চ সেন্টার ‘পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যত’ বিষয়ে একটি গবেষণা করে। গবেষণায় ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১৯টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই গবেষণায় বলা হয়েছিল, ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ওই অঞ্চলে তাদের মোট সংখ্যা হবে ১০ লাখের বেশি।
ল্যাটিন আমেরিকা এবং আইবেরিয়ান উপদ্বীপের বিভিন্ন গোষ্ঠীর বংশোদ্ভূত যে সব লোক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে তাদেরকে ল্যাটিনো বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা মানুষ ল্যাটিনো।
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত যেমন ব্রাজিলিয়ান, স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের জন্যই ল্যাটিনো শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে যেসব গোষ্ঠীর মধ্যে ইসলাম দ্রুতগতিতে প্রচার হচ্ছে, ল্যাটিনো সেগুলোর অন্যতম। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক ধর্মগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৪ শতাংশ লোক ল্যাটিনো জনগোষ্ঠীর। এই জনগোষ্ঠীটি মূলত অভিবাসী গ্রুপ। আর তারা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্যতম।
আমেরিকায় ঠিক কতজন ল্যাটিনো এবং ল্যাটিনা মুসলমান রয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। কারণ তাদের নিয়ে কখনো কোনো সরকারি সমীক্ষা হয়নি, গবেষণাও করা হয়নি। অনেকের ধারণা, এ সংখ্যা দেড় লাখ থেকে ২ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের ৯০ শতাংশই ধর্মান্তরিত মুসলিম এবং এদের অধিকাংশই নারী। ফলে ল্যাটিনো মুসলমানরা এখন ইসলামের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান জাতিগত গ্রুপে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি