রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করলে তুরস্কের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা এ হুমকি দেন।
২০১৭ সালে রাশিয়া ও তুরস্ক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম কেনার ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে এক চুক্তিতে সই করে। এ বছরের অক্টোবরে এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুরস্কে প্রতিস্থাপনের কথা রয়েছে।
এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাশিয়ার দূর পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি তার লক্ষ্যকে ধ্বংস করতে ব্যালিস্টিক, ক্রুজ মিসাইলসহ তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুরস্কের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রয়ের অনুমোদন দেয়। প্যাট্রিয়ট মিসাইল মূলত ব্যবহৃত হয় প্রতিরক্ষার জন্য। প্রধানত হামলাকারী মিসাইল ও প্লেন ভূপাতিত বা ধ্বংস করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা এজেন্সির সূত্রে জানা যায়, ওই সময় তুরস্কের কাছে ৮০টি প্যাট্রিয়ট এমআইএম-১০৪ই মিসাইল, ৬০টি প্যাক-৩ মিসাইলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।
তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করেনি।
ওয়াশিংটন অভিযোগ করছে, ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশ যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তার জন্য উপয্ক্ত নয়।
গত নভেম্বরে পৃথক এক রিপোর্টে পেন্টাগন আঙ্কারাকে সতর্ক করে বলেছিল, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা সিস্টেম যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমনকি এর ফলে ন্যাটোতেও তুরস্কের ভূমিকা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়বে।
সূত্র : ইয়ানিসাফাক