কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মো. নুরু মিয়া (৬৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার নাতির (ভাগ্নির ছেলে) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুর ১টার দিকে কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লায়। নিহত নুরু মিয়া কামারকোনা মহল্লার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
নিহত নুরু মিয়ার ছোট মেয়ে ও কটিয়াদী ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার আনারকলি বলেন, আমাদের বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল। আজ দুপুরে আমার ফুফাতো বোনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ২০-২৫ জন লোক নিয়ে এসে নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে রাজমিস্ত্রির যন্ত্রপাতি আটকে রেখে দেয়াল ভাংচুর করতে থাকে। এ সময় আমার বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে আসামাত্রই তাকে পিটিয়ে আহত করে।
তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। আমরা তিন বোন, আমাদের কোনো ভাই নেই। গত তিন মাস আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আমার মা জুলেখা বেগম মারা যান। আজ আমার বাবাকে তারা মেরে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ফুফাতো বোন নুরুন্নাহার, তার স্বামী শান্ত মিয়া ও তাদের ছেলে জহিরুল ইসলাম বেশকিছু দিন ধরে আমার বাবার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করে আসছিল। আমার কোনো ভাই না থাকায় সবসময় আমাদের ওপর অত্যাচার করত। আমি পিতৃহত্যার বিচার চাই।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন জানান, আহত নুরু মিয়াকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তাকে মৃত পাওয়া যায়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, বিজিবি সদস্য নুরু মিয়ার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ঝগড়া-বিবাদের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের লক্ষ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।