টিকাগ্রহণ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘তথ্যমন্ত্রী মিথ্যা তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে, মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। অথচ আমি যেটা বলেছিলাম- ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন নেবো না এবং নেইনি। ফলে ওই টিকা না নিয়েই আমাকে চারমাস কোভিডে ভুগতে হয়েছে। এখন আমি মডার্নার ভ্যাকসিন নিয়েছি। কারণ সেটা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।’
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টার হতে ‘গাজীপুর মহানগর কর্তৃক চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেন সদস্য সচিব মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. শওকত হোসেন সরকার, সদস্য রাশেদুল হক প্রমুখ।
সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন নেবো না। কারণ বিশ্বের অনেক দেশ ও সংস্থা সেই ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেসময় বলা হয়েছিল যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কার্যকর কি না তা দেখার জন্য বাংলাদেশে ট্রায়াল করা হবে। সেজন্যই মানুষের মনে সন্দেহ আরও বেড়ে গিয়েছিল। কেননা সেই ভ্যাকসিন আসলেই ভালো না মন্দ সেটা কোনও স্বীকৃতি তখনও মেলেনি। ফলে আমি করোনার ঝুঁকি নিয়েও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন নেইনি। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী ও অন্যরা আমাদের বক্তব্য ভালোভাবে শোনেননি। কারণ তিনি চোখেও কম দেখেন, কানেও কম শোনেন।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে বলা হচ্ছে গণটিকা অভিযান চলছে। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর আসছে দীর্ঘ লাইনেও মিলছে না করোনার টিকা। আসলে ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন আওয়ামী সরকার কোনও সময়েই ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করেনি। তারা শুধু লোপাট করেছে। যে কারণে আজকে ঢাকা সহ গ্রামে-গঞ্জে মানুষ করোনার চিকিৎসা পাচ্ছে না। সেসব এলাকায় আইসিইউ বেড, অক্সিজেন ও অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর প্রচণ্ড সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসবের কারণ হলো সরকারের একটি সিন্ডিকেট স্বাস্থ্যখাতের টাকা লোপাট করেছে।’