ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ মৃত্যু

ময়মনসিংহে করোনা শনাক্তের হার কমলেও বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৯ আগষ্ট) সকালে পাওয়া ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলা ও জেলার বাইরের মৃত ১৭ জনের মধ্যে ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৮ জন করোনা উপসর্গে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ২০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও মারা গেছেন আরও ৬জন।  হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত বেড়ের চাইতে দ্বিগুণ রোগী এখন ভর্তি রয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা: মো: মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছেন-ময়মনসিংহ সদরের হামিদা (৬১), জরিনা (৩৫), ও তাপস (৬২), গফরগাঁওয়ের রিয়াজুন্নাহার (৭৫) ও রুবেল (৪০), ত্রিশালের মুরশিদা (৫০), মুক্তাগাছার হাসান আলি (৮০), নেত্রকোনা শাহজাদা (৬৫) এবং পূর্বধলার ফরিদা (৫৩)।

এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন- ময়মনসিংহ সদরের হাজি দেওয়ান (১০১), ফরিদা বেগম (৬৭) ও সুফিয়া (৬৫), মুক্তাগাছার ইউসুফ আলি (৬০), নেএকোনা সদরের মালেহা (৬০), শেরপুর সদরের আব্দুল মতিন (৫০), গাজিপুরের শ্রীবর্দীর তাসলিমা (২৫) এবং সিরাজগঞ্জ সদরের ফজলু (৫০)।

ডা: মো: মহিউদ্দিন খান আরও জানান, হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মোট রোগী ভর্তি আছেন ৪২০ জন, আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২২জন।

রবিবার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ করোনা টেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে ৯১ জন ও আরটিপিসিআর টেস্টে ১১৭জন মোট ২০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ময়মনসিংহ সদরে ১০৫জন, নান্দাইলে ৩জন, ঈশ্বরগঞ্জে ২জন, গৌরীপুরে ৪জন, ফুলপুরে ৮জন, তারাকান্দায় ৫জন, হালুয়াঘাটে ০জন, ধোবাউড়ায় ৬জন, মুক্তাগাছায় ২৩জন, ফুলবাড়িয়ায় ২ জন, ত্রিশালে ১১জন ও ভালুকায় ২৩জন ও গফরগাঁওয়ে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় এক হাজার ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৫.৯৩ শতাংশ।  এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় মোট ১৭৬৬২ জনের করোনা শনাক্তের পর সুস্থ হয়েছেন ১২৯৩৮জন। বাকি ৪৭২৪জন রোগী এখনও জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Share this post

scroll to top