লক্ষীপুরে গণটিকা কেন্দ্রে কাজ করছে যুবলীগ!

লক্ষীপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের বিনামূল্যে গণটিকা প্রদান কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে টিকাদান কেন্দ্রে সকাল থেকেই কাজ করছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে ৭ জন করে যুবলীগ নেতা বায়েজীদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছে তারা। সরকার ঘোষিত টিকা প্রদানের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই তারা কেন্দ্রে অবস্থান করেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে সারাদেশের ন্যায় লক্ষীপুরের ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নে একযোগে চলছে এই গণটিকা কার্যক্রম। তারই ধারাবাহিকতায় কেরোয়া ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে চলছে গণটিকা প্রদান।

সকাল থেকে বারী বর্ষণ ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারের পরীক্ষামূলক গণটিকা প্রদান কার্যক্রমে টিকা নিতে শতশত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রগুলোতে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সেই ভিড় দ্বিগুণ হয়ে যায়। নিবন্ধনের জন্য নারী-পুরুষ অপেক্ষা করছে কেন্দ্রগুলোতে।

লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা এক নারী বলেন, বেলা ১১টার দিকে টিকা নিতে কেন্দ্রে এসেছি। কি করতে হয় জানি না। অনেক মানুষ দেখে ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাড়ি ফিরে যাবো। কিন্তু বায়েজীদ ভূঁইয়া আমার চলে যাওয়া দেখে ঐ ছেলেটা আমার সব কাজ করে দিয়েছে। পরে আমি টিকা নিতে পেরেছি।

লক্ষীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছে তা বিরল। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান এর নির্দেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গণটিকা প্রদানে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য আমার এ টিমে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।

এদিকে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে সফল করতে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা।

Share this post

scroll to top