ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৪ আগষ্ট) সকালে পাওয়া হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলা ও জেলার বাইরের মৃত ২২ জনের মধ্যে ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ১২ জন করোনা উপসর্গে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ৩৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও মারা গেছেন আরও ৫জন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত বেড়ের চাইতে দ্বিগুণ রোগী এখন ভর্তি রয়েছে। চাপ সামলাতে হিমশিম পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা: মো: মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা ইউনিটে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছেন-ময়মনসিংহ সদরের খলিলুর রহমান (৭৫), সাইফুজ্জামান (৩৯) গিয়াসউদ্দিন (৬২), সারোয়ার জাহান (৮১) এবং আর.কে.মিশন রোডের মমতাজ বেগম (৮০) গৌরীপুরের মো. মোবারক হোসেন শান্ত (১৬), টাংগাইলের মধুপুরের আমেনা বেগম (৮০), ঘাটাইলের আবেদা খাতুন (৬০) এবং নেত্রকোনা পূর্বধলার আলমপুর এলাকার আব্দুর রউফ (৩৫)।
এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন- ময়মনসিংহ সদরের মো. সাইফুল (৬৫), সাইমুননেসা (৬৫), শামসুদ্দিন (৯০), আব্দুল হেলিম (৭০) ও ফজিলা খাতুন (৬০), ফুলপুরের আকবর (৭০), তারাকান্দার আবু সালেহ (৫৫) ও আব্দুল খালেক (৬৭), ত্রিশালের ধানিখোলা এলাকার হামিদা খাতুন (৪৬), মুক্তাগাছার খলিলুর রহমান (৫৮), নেত্রকোনার জুলেখা (৬৫) এবং পূর্বধলার হাবিবুর রহমান (৬২)।
ডা: মো: মহিউদ্দিন খান আরও জানান, হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মোট রোগী ভর্তি আছেন ৫৫৩ জন, আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২২জন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ করোনা টেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে ১৭২ জন ও আরটিপিসিআর টেস্টে ২০৮জন মোট ৩৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ময়মনসিংহ সদরে ১৮৬জন, নান্দাইলে ৬জন, ঈশ্বরগঞ্জে ১৫জন, গৌরীপুরে ৯জন, ফুলপুরে ১৩জন, তারাকান্দায় ১০জন, হালুয়াঘাটে ১৫জন, ধোবাউড়ায় ১জন, মুক্তাগাছায় ১৬জন, ফুলবাড়িয়ায় ১৩ জন, ত্রিশালে ২৬জন ও ভালুকায় ২৬জন ও গফরগাঁওয়ে ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় মোট ১৬৩৭৫ জনের করোনা শনাক্তের পর সুস্থ হয়েছেন ১১৮৮১জন। বাকি ৪৪৯৪জন রোগী এখনও জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ময়মনসিংহ জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭৫ জন।
[visual-link-preview encoded=”eyJ0eXBlIjoiZXh0ZXJuYWwiLCJwb3N0IjowLCJwb3N0X2xhYmVsIjoiIiwidXJsIjoiaHR0cHM6Ly93d3cuZmFjZWJvb2suY29tL015bWVuc2luZ2hsaXZlL3Bvc3RzLzEzNTUwMzc2NjgyMjUzNjciLCJpbWFnZV9pZCI6ODcxOTMsImltYWdlX3VybCI6Imh0dHBzOi8vbXltZW5zaW5naGxpdmUuY29tL3dwLWNvbnRlbnQvdXBsb2Fkcy8yMDIxLzA4L01NQ0gtRElFRC0yMi00LTgtMjEucG5nIiwidGl0bGUiOiLgpo/gpocg4Ka44KaC4Kas4Ka+4Kam4Kaf4Ka/IOCmruCnn+CmruCmqOCmuOCmv+CmguCmuSDgprLgpr7gpofgpq0g4KaP4KawIOCmq+Cnh+CmuOCmrOCngeCmlSDgpqrgp4fgppzgp4cg4Kaq4KeH4Kak4KeHIOCmj+CmluCmvuCmqOCnh+CmhyDgppXgp43gprLgpr/gppUg4KaV4Kaw4KeB4KaoIiwic3VtbWFyeSI6IuCmruCnn+CmruCmqOCmuOCmv+CmguCmuSDgpq7gp4fgpqHgpr/gppXgp4fgprIg4KaV4Kay4KeH4KacIOCmueCmvuCmuOCmquCmvuCmpOCmvuCmsuCnh+CmsCDgppXgprDgp4vgpqjgpr4g4KaH4KaJ4Kao4Ka/4Kaf4KeHIOCnqOCnqCDgppzgpqjgp4fgprAg4Kau4KeD4Kak4KeN4Kav4KeBIOCmueCnn+Cnh+Cmm+Cnh+ClpCIsInRlbXBsYXRlIjoidXNlX2RlZmF1bHRfZnJvbV9zZXR0aW5ncyJ9″]
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭০টি সাধারণ বেড, ৪০টি কেবিন, ২০টি আইসিইউ ও ১০টি এইচডিইউসহ মোট ২৪০টি বেডের অনুমোদন থাকলেও ওয়ার্ডটিতে বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ৫৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে ডাক্তারসহ অন্যান্য জনবল পর্যাপ্ত না থাকায় অতিরিক্ত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঈদের পর থেকে এ হাসপাতালে সাধারণ বেড ও আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অনেক রোগীকে হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। গুরুতর রোগীদের আইসিইউয়ের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কোনো রোগী সুস্থ হলে কিংবা মারা গেলেই কেবল পাওয়া যাচ্ছে বেড। গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে আইসিইউ বেড না পেয়ে তীব্র অক্সিজেন সংকটে মারা গেছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান শাহিন। নতুন করে অনেক রোগী ভর্তি হতে আসলেও বেড খালি না থাকায় অনকে রোগী ভর্তি হতে পারছে না। চাহিদা সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ এর ৫টি বেড বাড়ালেও এই বেডগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসিইউ নয়।