কঠোর লকডাউনের মধ্যেও আজ থেকে খোলা শিল্পকারখানা। দুদিন হলো গ্রাম থেকে ফেরা শুরু করেছেন কারখানার শ্রমিকেরা। আজও হাজার হাজার যাত্রী রাস্তায়। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে যানচলাচল। এতে রাস্তায় অতিরিক্ত মানুষ ও যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হয়ে যানজট।
রোববার (১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টাঙ্গাইলের হাঁটুভাঙা থেকে কালিয়াকৈর, চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে সফিপুর, মৌচাক, কোনাবাড়ি হয়ে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। অনিশ্চয়তার মধ্যে তাদের অফিসে যোগদান।
ট্রাকের যাত্রী লতা আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে রওনা দিয়েছি জয়পুরহাট থেকে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত সারারাতই ছিল থেমে থেমে যানযট। চন্দ্রা ফ্লাইওভারে ৪০ মিনিট ধরে যানজটে আটকে আছি। আজ আর অফিসে যাওয়া হবে না। কখন পৌঁছাই ঠিক নাই।’
দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ৮টা থেকে অফিস করার কথা। কিন্তু এখনো চন্দ্রা পাড় হতে পারলাম না। হাঁটুভাঙা থেকে চন্দ্রা আসতে ২ ঘণ্টার বেশি লেগেছে। যে অবস্থা তাতে সারাদিনে টঙ্গী যেতে পারবো কিনা সন্দেহ।’
দিদারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে মোটরসাইকেল ও আটো চলাচল করলেও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে যেতে পারছেন না অনেকেই। চন্দ্রা থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত মোটরসাইকেল ভাড়া নিচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। আলোতেও গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা অথচ স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ছিল ৪০ টাকা।’
আবু তাহের কাজ করেন কোনাবাড়ির একটি পোশাক কারখানায়। তার মুখে চিন্তার ভাজ। তিনি বলেন, ‘ঠিক সময়ে অফিসে না যেতে পারলে চাকরি না থাকতে পারে। ভেবেছিলাম ১০টার মধ্যেও অফিসে গেলে ম্যানেজ করা যেতো। চাকরি থাকলেও অফিস খোলার প্রথম দিন অফিসে উপস্থিত না থাকলে, সবগুলো ছুটি অ্যাপসেন করে দিবে।’
সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, শেষ সময়েও অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের কারণে কিছু জায়গায় যানজট দেখা গেছে। তবে থেমে থেমে গাড়ি চলছেই। অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।