রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক সইতে না পেরে ২ সন্তানের জনক ফিরোজ শেখ (৪৮) নামে বিষপানকারী অভিমানী স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক দুই সন্তানের জনক আব্দুর রব শেখকে (৩২) ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মৃত মোহন শেখের ছেলে।
ফিরোজ শেখের ভাতিজা মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, নিজের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে গত শুক্রবার বিকেলে তার চাচা ফিরোজ শেখ কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর সেখানেও অবস্থার আরো অবনতি হলে গত সোমবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘ ২৫ বছর আগে গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কেউটিল গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে ফিরোজ শেখের (৪৮) সাথে পার্শবর্তী হাউলি কেউটিল গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে তাসলিমা বেগমের (৩৮) বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে পূর্ণ বয়স্ক একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে পার্শবর্তী গ্রামের ইজিবাইক চালক দুই সন্তানের জনক আব্দুর রব শেখের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তাসলিমা। গত ২০/২৫ দিন পূর্বে আব্দুর রব ও তাসলিমা পালিয়ে যায়। সপ্তাহখানেক পর স্থানীয়দের চাপে আব্দুর রব তাসলিমাকে তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এরপরও তাসলিমা ও আব্দুর রব যথারীতি পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ফিরোজ শেখের মৃত্যুর কথা শুনেছেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পরকীয়া প্রেমিক আব্দুর রব শেখকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত শনিবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।