বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ম্যাডাম ( খালেদা জিয়া) কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত হওয়ার পর এখন মোটামুটি ভালো আছেন। টিকা নেওয়ার কারণে সামান্য জ্বর এসেছে তার।
বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাড়া বাসা ফিরোজায় যান মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য। এক বছর পর ঈদের দিনে দলীয় চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হলো বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের।
খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যেটা বরাবরই বলে আসছি এবং চিকিৎসকদের যেটা পরামর্শ, সেটা হলো তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, উন্নত সেন্টারে। এটা খুবই বেশি প্রয়োজন তার।
রাত ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান গুলশানে খালেদার বাসা ‘ফিরোজা’য় ঢোকেন। এক ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
সর্বশেষ গত বছরের কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার দেখা পেযেছিলেন দলের নেতারা। এবছরে রোজার ঈদের সময়ে খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত বছর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার এক বছর পর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কোভিডমুক্ত হয়ে বাসায় ফেরার পর গত সোমবার তিনি কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নেন। মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে সোমবার বিকেলে গাড়িতে বসেই করোনাভাইরাসের টিকা নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকৃতপক্ষে এক বছর পরে আমরা সবাই একসাথে ঈদের দিন ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি।
দেশবাসীর জন্য খালেদা জিয়ার কোনো বার্তা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছ থেকে তিনি দোয়া চেয়েছেন এবং ঈদের দিনে তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। করোনা থেকে যাতে দেশ মুক্ত হতে পারে, সেজন্য আল্লাহতালার কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন।