এস-৫০০ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, অস্ত্রখান অঞ্চলে একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। খবর স্পুটনিকের।
কাপুস্টিন ইয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সর্বাধুনিক ওই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষার সময় এটি একটি দ্রুত গতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই সফলভাবে প্রতিহত করে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসোভ ২০২০ সালের আগস্টেই এস-৫০০ এর ব্যাপারে জানিয়ে ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বছরের মে মাসে ঘোষণা দেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে শিগগিরই অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৫০০ ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘সারমাত’ হস্তান্তর করা হবে।
পুতিন বলেন, শিগগিরই রুশ সেনাবাহিনী যেসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হতে যাচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— আন্তঃমহাদেশীয় ‘সারমাত’ ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধজাহাজে স্থাপনযোগ্য শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ‘তেসরিকুন’ এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘এস-৫০০’।
একই সঙ্গে ২০৩৪ সালের মধ্যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরেন পুতিন।
রাশিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘সারমাত’ ১০ টন ওজনের সামরিক ওয়্যারহেড বহন করে ঘণ্টায় ১১ হাজার কিলোমিটার গতিতে লক্ষ্যপানে ছুটতে পারে। তিন বছর আগে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায় রাশিয়া।
এ ছাড়া ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এস-৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আমেরিকাকে প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছর শব্দের চেয়ে আটগুণ গতিসম্পন্ন তেসরিকুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানায়, যা বিমানবাহী রণতরী বিধ্বস্ত করতে সিদ্ধহস্ত বলে ঘোষণা করা হয়।