ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ৭০ হাজার টাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনা থানায় আপোস মিমাংসা হওয়ার পরও একই ঘটনায় তিন মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অবশ্য এ জন্য বাদীর চতুরতাকে দায়ী করেছেন। বাদী দায়ী করেছে পুলিশকে। আপোস মিমাংসায় সাক্ষী হয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ঐ এলাকার সচেতন কিছু মানুষ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের বগাকৃষ্টপুর গ্রামের প্রবাসী নূরুল আমিনের স্ত্রী নিলুফা বেগম একটি তুচ্ছ ঘঁনায় আঃ বারেক ও মকবুল হোসেনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থানার এস আই এ এইচ এম মোকতাদেরুল হাসান গত ৩ মে আঃ বারেককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঐ দিন নাওগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আঃ ছালাম, আঃ খালেক, হাফিজ থানায় উপস্থিত থেকে বাদী নিলুফাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি আপোস মিমাংসা করে দেন। বাদী লিখিত দিয়ে আঃ বারেককে নিজ জিম্মায় নিয়ে যান।
একই ঘটনায় গত ২ জুন নিলুফা বেগম বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে মকবুল হোসেন ও আঃ বারেককে আসামী করে মোকদ্দমা নং ৮৪/২০২১ দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। বিষয়টি তদন্ত করছেন পিবিআই।
সুচতর বাদী নিলুফা বেগম পুলিশের সহায়তায় একই ঘটনায় গত ৩০ জুন থানায় মামলা নং ৩৭ দায়ের করেন। ঐ মামলায় মকবুল হোসেন ও আঃ বারেককে আসামী করা হয়। থানার এস আই এ এইচএম মোকতাদেরুল হাসান তালতলী বাজার থেকে মকবুল হোসেনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
একই ঘটনায় তিন মামলা নিয়ে এলাকায় এলাকায় চাঞ্চল্য রিরাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আদালতে মামলা তদন্তাধীণ থাকার পরও একই ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
থানা থেকে আপোস মিমাংসার মাধ্যমে আসামী আঃ বারেককে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় সাক্ষী হয়েছিলেন নাওগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আঃ ছালাম। তিনি জানান, টাকার বিষয়টি পুলিশ ও বাদী ভাল বলতে পারবে। আপোস মিমাংসা হওয়ার পরও একই ঘটনায় তিন মামলা এটি হয়রানী ছাড়া কিছু না।
মামলার আসামী আঃ বারেক জানান, ৭০ হাজার টাকা নেয়ার পর বাদী মুচলেকা দিয়ে আমাকে থানা থেকে নিজ জিম্মায় বের করে নিয়ে এসে আবার মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে অযথা হয়রানী করছে। আমরা বিয়ষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি।
বাদী নিলুফা বেগম একই ঘটনায় তিন মামলা ও আসামী নিজ জিম্মায় আনার পরও কেন আদালত ও থানায় পূনরায় মামলা দিয়ে কেন হয়রানী জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। ৭০ হাজার টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই এ এইচ এম মোকতাদেরুল হাসান ভাল বলতে পারবেন।
ফুলবাড়ীয়া থানার এস আই এ এইচ এম মোকাতাদেরুল হাসান জানান, বাদী নিলুফা বেগম ৭০ হাজার টাকা নিয়ে আসামী আঃ বারেককে জিম্মায় নেন। আসামী নিজ জিম্মায় নেয়ার পরও পূনরায় কেন একই ঘটনায় আদালত ও থানায় পৃথক দুইটি মামলা হল তা পারেননি।