নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিয়ের মাত্র ১৮ মাসেই পারিবারিক কলহের জেরে রিমা (২১) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে । বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বাড়ি উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া গ্রামে কিটনাষক পানে আত্মহত্যা করেন তিনি । শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তারা ।
নিহত গৃহবধূ একই উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে ।
এই দিকে আত্মহত্যার এই ঘটনাকে হত্যা দাবী করে বিচার চেয়েছেন নিহতের পরিবার ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিন যাবৎ শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সাথে পারিবারিক কলহ চলছিলো রিমার । এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে রাখা কিটনাষক খেয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে রিমা । এ দৃশ্য দেখে পরিবারের লোকজন তাঁর স্বামী মতি মিয়াকে খবর দেয়। পরে মতি মিয়া তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসলে।
এ নিয়ে রিমার পিতা নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৮ মাস আগে পারিবারিক ভাবে মতি মিয়ার সাথে আমার মেয়ে রিমাকে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিসহ নানারকম ভাবে রিমার উপর অত্যাচার করা হতো । কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু টাকা সহ একটি বড় গরু ও বাছুর দাবি করে মতি মিয়া। আমি গরু না দিয়ে একটি বাছুর দিলে তা নেয়নি মতি মিয়া । বৃহস্পতিবার রাতে আমার কাছে ফোন আসে আমার মেয়ে না কি বিষ খেয়েছে । রাতে হাসপাতালে ডাক্তার রিমাকে ময়মনসিংহে নেয়ার কথা বল্লেও মতি মিয়া ও পরিবার নেয়নি । এটা কোনো আত্মহত্যা নয় এটি হত্যাযজ্ঞ । আমার মেয়েকে ওরা মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে । আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এব্যাপারে দুগার্পুর থানার ওসি শাহ্ নুর এ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমার স্বামী মতি মিয়াকে থানায় আনা হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।