কমলনগরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদেরকে মারধরের অভিযোগ

লক্ষীপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতনের সমর্থকদেরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতিকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মো. কামাল, মো. রাসেল, বেলাল হোসেন, আনোয়ার উল্যাহ ও জবু উল্যাহ গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) বিকেলে তোরাবগঞ্জের চরপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে খবর পেয়ে বিকেলেই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মারধরের ঘটনাটি অশ্বীকার করে আ.লীগের প্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামান রাসেল জানান, তোরাবগঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাগলা গ্রামে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে রতনের লোকজন আসে। একপর্যায়ে রতনসহ তার লোকজন নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে।

আহতরা হলেন মো. নাছির, সোহেল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রুবেল হোসেন ও ঘোড়া প্রতিকের সমর্থক জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মির্জা আশরাফুল জামান রাসেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, ঘটনার সময় চরপাগলা গ্রামে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে নিয়ে রাসেলের লোকজন আমার দুই কর্মীকে মারধর করে। ঘটনাটি শুনে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যান। মোটরসাইকেল থেকে নামার আগেই রাসেলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে তার ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। আমিও ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে এসেছি বলেও জানান রতন।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে এসিল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের কাছে কেউই অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

Share this post

scroll to top