জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ শুরু করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। টি-২০ ফরম্যাটে জিততে থাকা পাকিস্তানের জয়রথ থামলো প্রোটিয়াদের দ্বারে। টি-২০তে টানা নয় ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে হারের স্বাদ পেলো পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেপ টাউনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো না হলেও রেজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় স্কোরের পথ দেখান। ওপেনার হেনড্রিকস ও তিন নম্বরে নামা ডু-প্লেসিস দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন।
হেনড্রিকস ৭৪ ও ডু-প্লেসিস করেন ৭৮ রান। হেনড্রিকসের ৪১ বলের ইনিংসে আটটি চার ও দুটি ছক্কা ছিল। আর ডু-প্লেসিসের ৪৫ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ বল মোকাবেলা করে প্রোটিয়া রেকর্ড ১৩১ রান জড়ো করেন হেনড্রিকস ও ডু-প্লেসিস জুটি। দু’জনের এমন বিধ্বংসী জুটির কল্যাণেই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ ভার্সনে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের স্কোর পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। তবে শুরুর ধাক্কা দ্রুত ভুলিয়ে দেন পাকিস্তানের পরের দুই ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও হুসেইন তালাত। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বল মোকাবেলা করে ৮১ রান যোগ করেন তারা। ফলে বেশ ভালোভাবেই লড়াই থাকে পাকিস্তান। তবে ১১তম ওভারে দলীয় ৯৩ রানের মধ্যে বাবর ও তালাত ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। বাবর ২৭ বলে ৩৮ ও তালাত ৩২ বলে ৪০ রান করেন।
বাবর-তালাতের বিদায়ের পর পাকিস্তানকে একাই সামনের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। আসিফ আলির ১৩ ও হাসান আলীর ১১ রান দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তারপরও এক প্রান্ত আগলে দলের জয়ের কিঞ্চিৎ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মালিক। শেষ দুই ওভারে ২৯ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। সেই সমীকরণ শেষ ওভারে ১৬তে নামিয়ে আনেন মালিক। কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় বলে মালিক আউট হয়ে গেলে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৬ রান করে পাকিস্তান। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৯ রান করেন মালিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার হেনড্রিকস-মরিস ও শাসমি দুটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। ব্যাট হাতে ১০ রান এবং ফিল্ডার হিসেবে চারটি ক্যাচ ও একটি রান আউট করেন মিলার।
জোহানেসবার্গে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০।