ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পাটিরা টু সোয়াইতপুরটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সড়কটি দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল যাতায়াত করে থাকে বাস। বর্ষা শুরুর পর সড়কটি ১০-১২ টি স্থানে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। গার্মেন্টসের বাসগুলো আটকে যায় ঐ খানাখন্দকে। অনেক সময় পন্য বোঝাই ট্রাকও আটকে পড়ে।
উপজেলার পাটিরা টু সোয়াইতপুর সড়কটি ভালুকার ভরাডোবায় ময়মনসিংহ- ঢাকা মহাসড়কে গিয়ে মিলিত হয়েছে। সড়কটির পাটিরা -সোয়াইতপুর অংশের ১০/১২ টি স্থানে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। কাহালগাঁও,সোয়াইতপুর,বেতবাড়ী গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ ভালুকার বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরী করে থাকেন। তাদেরকে আনা নেয়ার জন্য প্রতিদিন দুইটি বাস সকাল বিকাল চলাচল করে থাকে। বর্ষা শুরুর পর থেকে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সময় বাসগুলো আটকে যাওয়ার শ্রমিকরা সঠিক সময়ে গার্মেন্টসে হাজিরা দিতে পারেন না। পন্য বোঝাই ট্রাকগুলো অনেক সময় আটকে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক সেলিম রেজা জানান, বর্ষা শুরু পর থেকে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দের হাঁটুজল জমা যায়। তাছাড়া মাঝিরঘাট ব্রিজপাড়ের একটু আগে ও থানার পাড় এলাকার মহিলা মার্কেটেও ওখান দিয়ে যান চলাচল এখন দায় হয়ে পড়েছে। বাসগুলো আটকে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে দাড়িয়ে থাকতে হয়। দেরিতে অফিসে পোছাইনোর কারনে গার্মেন্টসের অফিসাররা আমাদেরকের ধমক দিয়ে থাকেন।
নয়ন নামের এক এলাবাকাসী জানান, আমাদের এলাকায় কৃষকের কৃষি পন্য বাজারজাত করনে বাধাগ্রস্ত করছে সড়কটি।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন অফিস না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিল মোবাইলে জানান, সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমি বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবো।