জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের হামলায় উসকানি দেওয়ার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফেইসবুক। শুক্রবার জানা গেল, সেই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে এবং দুই বছর তিনি ফেইসবুক ব্যবহার করতে পারবেন না।
এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য এটাই ট্রাম্পের সর্বোচ্চ শাস্তি।
তবে নিষেধাজ্ঞার শেষ হওয়ার পর ট্রাম্পের বিষয়ে বিশ্লেষকদের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। ফেইসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, “এই সময় অতিবাহিত হলে জন নিরাপত্তার ঝুঁকি কমেছে কি-না, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলে গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল চত্বরে তার সমর্থকেরা সমবেত হয়। তারা ভবনে ভাংচুর ও তাণ্ডব চালায়। তাদের একটাই দাবি ছিল, ফলাফল বাতিল করতে হবে। এ সময় ‘সেভ আমেরিকা মার্চ’ ও ‘ফাইট লাইক হেল’ স্লোগান দিয়ে উসকানি জুগিয়েছিলেন ট্রাম্প— এমন অভিযোগ ওঠে। এরপরই ফেইসবুক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, “এটা আমার রেকর্ড সংখ্যক সাড়ে ৭ কোটি অনুরাগী এবং যে অসংখ্য জনগণ ২০২০ সালের জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের জন্য অপমানজনক।”
সোশ্যাল সাইটে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ট্রাম্প মার্চে নিজের মতো করে একটি যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে হাজির হন। তবে সেই মাধ্যমটি কার্যকর না হওয়ায় পরে বন্ধ করার খবরও পাওয়া যায়।