সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় মালির সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত করেছে ফ্রান্স। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে বেসামরিক শাসন ফেরার নিশ্চয়তা না পেলে এই স্থগিতাদেশ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্যারিস। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে মালি, চাদ, মৌরিতানিয়া, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীকে সহায়তা দিয়ে আসছে ফ্রান্স। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাত্র ৯ মাসের মাথায় দ্বিতীয় দফায় গত সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। ২৪ মে সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাহ নদা, প্রধানমন্ত্রী মক্টর ওয়ান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলাইমান ডোকুরেকে আটক করা হয়। সেনা কর্মকর্তা ভাইস প্রেসিডেন্ট অসীম গোয়েতা-র নেতৃত্বেই অভ্যুত্থান ঘটানো হয়।
নতুন সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো জোট ইকোওয়াস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) থেকে মালির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মালিতে রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে ইকোয়াস এবং এইউ উভয়েরই ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব নিশ্চয়তার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ফ্রান্স সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে মালির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তবে সেখানে স্বাধীনভাবে কাজ অব্যাহত রাখবে ফরাসি বাহিনী।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ এবং স্থলবেষ্টিত দেশ মালির বিস্তৃত এলাকার মানুষ দরিদ্র এবং অনুন্নত। ২০১২ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়ে যায়। দেশটির উত্তরাঞ্চল এসব গোষ্ঠী দখল করে নিলে তা পুনরুদ্ধারে সহায়তা দেয় ফরাসি বাহিনী। তবে এখনও দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলা অব্যাহত রয়েছে।